নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় দুই দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম সেশন। জি-২০ গোষ্ঠীর সদস্য না হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু বাংলাদেশকেই ওই সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক ভারত।

বৈশ্বিক নানা অস্থিরতার মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শুরু হয়েছে দুই দিনের জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্বের শিল্পোন্নত ২০ দেশের অর্থনৈতিক জোটের এই সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনস্থল নয়াদিলি­র প্রগতি ময়দানে ভারত মান্দাপাম কনভেনশন সেন্টারে শেখ হাসিনা পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শীর্ষ সম্মেলনে জি-টোয়েন্টি নেতারা ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন, খাদ্য নিরাপত্তা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সমাধান খুঁজে বের করবেন।

এবারের জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের সভাপতি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিশ্বের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সবার এক থাকতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে অবিশ্বাস দূর করতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন নতুন পথ দেখাবে।

জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের ‘এক বিশ্ব’ এবং ‘এক পরিবার’ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন, কভিড-১৯ মহামারীর পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহের ব্যাঘাতের চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা তুলে ধরবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।